সরাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহাব স্যারের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ , ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহাব স্যারের আদর্শ ও স্মৃতি আজীবন থাকবে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে। আজও তিনি বেঁচে আছেন শিক্ষার্থীদের মননে -ও অন্তরের গহীনে। আজ আব্দুল ওয়াহাব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন। একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। শিক্ষকের মেধাশ্রমই জাতির অমূল্য সম্পদ। তাই তাকে হতে হয় আর দশজন মানুষের তুলনায় সেরা। কেননা তাকে দেখেই শেখে আগামী প্রজন্ম। যদিও আদর্শ শিক্ষকের নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা দেয়া কঠিন,শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। মহৎ এ পেশার দরুন একজন শিক্ষক মানুষের হৃদয়ে চিরস্মরণীয়, বরণীয় হয়ে থাকেন। শিক্ষকের মৃত্যু হলেও কালের আবর্তনে তার প্রদত্ত অবদান ক্ষয় হয় না। এমন একজন শিক্ষক ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহাব তিনি শুধু শিক্ষক ছাড়াও ছিলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্টানের সভাপতি বা পরিচালকের দায়িত্বে। উনার জীবনীতে এমন করে অনেকেই বলেছেন। এসব তথ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানান। সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন দীর্ঘকাল। সরাইল সদর বড্ডাপাড়া গ্রামে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন, স্যারের পিতা মহদয় মরহুম ধনু মিয়া সর্দারের পাঁচ ছেলের মাঝে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহাব স্যার ছিলেন সবার ছোট। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৩১ আগস্ট ২০১৫ সালে।স্যার আমাদের মাঝে না থাকলেও স্যারের আর্দশ ও স্মৃতি আজীবন থাকবে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে।
সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান বলেন,একজন প্রধান শিক্ষকের সকল গুনাবলী উনার ছিল। কালীকচ্ছ পাঠশালার প্রতিটি ধুলিকনার সাথে তার স্মৃতি বিজড়িত। আমি উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
এমন করে অনেকেই উনার কথা ফেসবুকে লেখেছেন,
আজ পরম শ্রদ্ধাভাজন স্যার ও কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মরহুম আব্দুল ওয়াহাব (মাস্টার) এর স্মরণে ৬ষ্ট মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে । পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, স্যারের চার ছেলে, এক মেয়ে আছেন। তারা সবাই সু- প্রতিষ্ঠিত। মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহাব স্যার কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্ছ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।তারপর ও সরাইলের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক সম্মানিত সভাপতি রাহমাতুল্লি আল- আমিন দাখিল মাদ্রাসা, বড্ডাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরাইল সদর উচ্চ বিদ্যালয়,সরাইল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, বড্ডাপাড়া শাহয়ানী জামে মসজিদ, বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, সরকার কতৃক শিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ( পুরস্কার প্রাপ্ত ) সভাপতি ছিলেন ন্যাপ আওয়ামীলীগ সরাইল উপজেলা। এছাড়া তিনি জীবদ্দশায় অনেক সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক ২০১৫ সালের ৩১ আগষ্ট এই দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। দোয়া করবেন মহান আল্লাহ -তালা যেন আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন স্যারকে- জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।’আমিন ‘তাদের পাঠদানের প্রতিদান প্রবহমান থাকে অনন্তকাল। তারা মরেও অমর। সওয়াবের ধারাবাহিকতায় শিক্ষকদের আত্মা শান্তি পায়। কারণ একজন শিক্ষকের জ্ঞান দ্বারা অসংখ্য শিক্ষার্থীর জীবন উপকৃত হয়। এ উপকারই একজন শিক্ষকের জন্য সদকায়ে জারিয়ার রোপিত বীজ। এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব কখনো বন্ধ হয় না।
আপনার মন্তব্য লিখুন