নাইয়র যাওয়া হলো না শারমিনের
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ , ২৯ আগস্ট ২০২১, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি :এক সপ্তাহ আগেই পারিবারিকভাবে শারমিন আক্তার ও জহিরুল ইসলামের বিয়ে হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ভাটপাড়া গ্রামে শারমিনের বাবার বাড়ি। আর বিজয়নগরের মুকুন্দুপর গ্রামে জহিরুল ইসলামের বাড়ি।
বিয়ের পর শুক্রবার (২৭ আগস্ট) প্রথমবারের মতো স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন জহিরুল ইসলাম। কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই ট্রলারডুবিতে লাশ হলেন শারমিন। হাতের মেহেদির রং শুকানোর আগেই জীবনাবসান হলো তার।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টায় বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের লইসকা বিলে বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবোঝাই একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে নববধূ শারমিনসহ ২২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
শারমিন সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত জারু মিয়ার মেয়ে। শারমিনের বাবার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার স্বজনদের আকাশ ভারী আহাজারি। বিশেষ করে শারমিনের মা ও তার ভাইয়ের আহাজারিতে স্তব্ধ হয়ে আছে এলাকার পরিবেশ।
শারমিনের ভাই আলমগীর জানান, দর্জির কাজ করে তিনি সংসার চালান। ধার-দেনা করে বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম। বোনকে হারিয়ে আমার মা নির্বাক হয়ে পড়েছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শারমিনের স্বামী জহিরুল জানান, শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে শুক্রবার চম্পকনগর ঘাট থেকে স্ত্রীসহ ট্রলারে উঠি। ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় তিনি সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও স্ত্রীকে টেনে তুলতে পারেননি। স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন