নতুন ভয়ংকর মাদক ‘ম্যাজিক মাশরুম”
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ , ৭ জুলাই ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
এলএসডি, ডিএমটি নামের মাদকের পর এবার নতুন মাদক ম্যাজিক মাশরুমের সন্ধা মিলেছে। ইউরোপ, আমেরিকার শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই দেশে আসে এ মাদক।
চড়া মূল্যে বিক্রি করা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে। সেবনে অবিরাম হ্যালুসিনেশন হয়। রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ১০।
পশ্চিমা উন্নত দেশে ব্যবহৃত নতুন নতুন ভয়ঙ্কর মাদকের ব্যবহার বাড়ছে দেশে। সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত এলএসডি মাদকের পর এবার ম্যাজিক মাশরুম নামে আরও একটি হ্যালুসিনেটিক ড্রাগের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এটি সেবনে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মাদকসেবীরা। ঘুম আসে না, ফুলে যায় চোখ। এমনকি ছাদ থকে লাফিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হতে দ্বিধা করেন না সেবনকারীরা। সবসময় এক ধরনের হ্যালুসিনেশনে থাকে। জীব জন্তুর সঙ্গে কথা বলাও শুরু করে তারা।
রাজধানীর হাতিঝিল থেকে চক্রের দুই সদস্য নাগিব হাসান অর্ণব ও তাইফুর রশিদ জাহিদকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানায় র্যাব।
বুধবার (৭ জুলাই) র্যাবের মিডিয়া উইং এর পরিচালক খোন্দকার আল মঈন জানান, জাহিদ বর্তমানে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত। ২০১৯ সালের পর থেকে সে বিভিন্ন সময় এলএসডি ও ডিএমটি সেবন ও বিক্রি করে আসছিলেন। পরবর্তীতে এ হ্যালুসিনেশনে ড্রাগের পতি তার দৃষ্টি আর্কষণ হয়। পর আস্তে আস্তে আসক্তি আসতে থাকে এবং ম্যাজিক মাশরুম সম্পর্কে জানতে পারে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, নতুনত্বের প্রতি আগ্রহ থেকে অপ্রচলিত এসব মাদকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে যুবসমাজ। অর্থ লোভে এই ড্রাগটি দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকা পড়ুয়া কিছু শিক্ষার্থী। যারা নিজেরাই মাদকাসক্ত।
মূলত কানাডা প্রবাসী অনর্বের মাধ্যমে গত মে মাসে ৩০ বার নিষিদ্ধ মাদক ম্যাজিক মাশরুম নিয়ে আসে আসে জাহিদ। দুই মাসে ২৫টি বার বিক্রি করা হয়। একেকটি বার বিক্রি করা হয় ২৫ হাজার টাকায়। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাই এই মাদকের গ্রাহক।
আপনার মন্তব্য লিখুন