সরাইলে আবার ও খাল দখলের পায়তারা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ , ১৫ জুন ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে খাল, নদী ও ডোবা ভরাট বন্ধে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে
নির্দেশনাকে অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার সরাইল- নাচিরনগর আঞ্চলিক সড়কের পশ্চিম পাশে সরাইল গরু বাজার হতে মুল্লা বাড়ির সামনে
দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের জমি দখল নিয়ে চলছে প্রতিযোগীতা। এখন নতুন করে খালের মধ্যে দেয়াল নির্মাণের দৃশ্য ছবিতে আছে।সরকারি এই খালটি স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র নানান কৌশলে হাতিয়ে নিলেও স্থানীয় ভূমি প্রশাসন কোন ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালী দখলদার চক্র খালের বিভিন্ন অংশে বাড়িঘর ও অবকাঠামো নির্মাণ করে খালটিতে নির্বিচারে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। যা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্থ করছে। এর ফলে বৃষ্টিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। তাই খালটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণসহ দখল মুক্ত করার দাবি জানান স্থানীয়রা।খালের দখল ও দূষণের বিষয়ে উচালিয়া পাড়া গ্রামের মো. মিনার হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, ২০ থেকে ২৫ বছর আগে এ খাল দিয়ে সরাইল বীজ গুদামে নৌকায় দিয়ে কৃষি পণ্য আসতে আমরা দেখছি।খালটির অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি খালটিতে প্রবেশ করতে পারে না। বেশ কয়েক বছর হলো খালের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে খালে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দিন দিন ছোট হয়ে আসছে খালটি এবং যে যার মতো ব্যবহার করছে। কালকে দেখলাম নতুন করে খালের মধ্যে দেওয়াল। বড্ডাপাড়া গ্রামের একাধিক স্বানীয় লোকজন বলেন, খালে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলদারদের হাত থেকে জমি দখল মুক্ত না করলে, সরাইল- বড্ডা পাড়া, বনিক পাড়া, বড়দেওয়ান পাড়া এলাকার খালটি দ্রুত হারিয়ে যাবে। সরকারি উদ্যোগে দ্রুত খালের জমি দখল মুক্ত করে খালটি খনন করা উচিত। তা না হলে এ খালটি কতিপয় ভূমিদস্যুরা দখল করে ফেলবে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সরাইল হাসপাতালের পশ্চিম পাশে খালের অংশে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ইটের দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীগণ এমনভাবে ময়লা ও আবর্জনা খালে ফেলছেন যাতে আগামী কয়েক বছর পর হয়তো খালটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া খালের জমি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৌশলে দখল করে নিচ্ছেন। কেউবা নিজ উদ্যোগে কালভার্ট তৈরি করে তার নিচে ময়লা ফেলছেন, ইটের প্রাচীর তৈরি করে জমি দখল করেছেন।বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চালাচ্ছেন দখল প্রতিযোগীতা এর মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ফয়সাল আহমেদ বলেন,এটা আল্লহর ঘর মসজিদের সামনের অংশ পানি নিষ্কাশনের যথেষ্ট সু ব্যবস্থা রেখে ওয়াকফকৃত মসজিদে সামনের জায়গায় ওজুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে,, অনেক জায়গায় সরকারি রাস্তা দখল করে দোকান নির্মান সহ বিল্ডিং নির্মান করে রেখেছে আশা করি ঐ নিউজ গুলো ও হবে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল দখলের কথা স্বীকার বলেন, এ খালে অবৈধভাবে দেওয়াল নির্মাণ করছে কাল পরিদর্শনে যাব। ইউএনও বলেন,খাল থেকে দ্রুত নির্মিত দেওয়াল অপসারণের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন