সরাইলে স্বাস্হ্যবিধি মানায় উদাসীন।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ , ২২ মে ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার মানুষের মধ্যে স্বাস্হ্যবিধি মানায় ব্যাপক উদাসীনতা দেখা গেছে। সরাইল উপজেলার হাটবাজার থেকে শুরু করে সিএনজি গ্রামাঞ্চলের মোড়ের দোকানে সবখানে একই অবস্থা। করোনা ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমন ঠেকাতে কঠোর সরকার। সরাইল উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা যায়। এ সচেতনামুলক প্রচার শুরু করলেও প্রভাব নেই জনমনে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি দুরে থাক, মানুষের মাস্ক পুরতে ও অনীহা। কারো কাছে মাস্ক থাকলেও তা রেখেছেন পকেটে বা মুখের নিচে থুঁতনিতে।আর অধিকাংশের কাছে মাস্ক নেই।
কুট্রাপাড়া মোড় এলাকায় কয়েকজন রিকশা চালকের মুখে মাস্ক নেই জিজ্ঞেস করলে, তারা বলেন, ভুলে বাড়িতে রেখে আইসি। আবার কেউ বলে গরমে মাক্স ব্যবহার করতে পারি না তাই পকেটে রাখছি, কারো নিকট আবার মাস্ক্ নেই বলে জানান,
সরাইল- লাখাই সড়কে এক সিএনজি চালকের গাড়ি সামনে মাক্স ঝুলে দেখায় জিজ্ঞেস করলে চালক বলে, মাক্স আছে মধ্যে মধ্যে মুখের কাশি ফেলতে হয়। মাক্স লাগাইছি। মাক্সের ব্যবহারে তারা অজুহাত খুজে। অনেক চালকে মাক্স ছাড়াই গাড়ি চালাইতে দেখা যায়, যাত্রী যারা আছেন তাদের মাঝে এক জনের মাস্ক দেখা গেলে বাকীদের মাস্ক নেই। এখন সর্ব স্হানে স্বাস্হ্যবিধি মানায় উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়।
সরাইল সদর বাজার, শাহবাজপুর বাজার, কালিকচ্ছ বাজার, অরুয়াইল বাজার সহ গ্রামের চা দোকানে গাদাগাদি করে দোকানে মাল বিক্রি করছে, চা দোকানে রাত- দিন সমান ভাবে চলছে আড্ডা। কেউ সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্হ্য বিধি মানতে দেখা যায়নি।
গত বছরের মার্চ এপ্রিল ও মে মাসের প্রথমার্ধে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত টহল ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মত, কিন্তু এখন অনেকাংশেই সেটা অনুপস্থিত। এজন্যই মানুষের এভাবে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। উপজেলার বিভিন্ন স্হানে ঘুরে দেখা গেছে, সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমাবেশ সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো সচেতনতা নেই।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে স্বাস্হ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করে সরকার। গণপরিবহনে চলাচলের ওপর স্বাস্হ্যবিধি আরোপ করা হয়। দেওয়া হয় সরকারি ছুটি। সাধারণ মানুষের মধ্যে ও স্বাস্হ্যবিধি মানার প্রবণতা নেই। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, অভিভাবক ও শিশুদের কারো মধ্যে কোন ধরনের সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি।
আপনার মন্তব্য লিখুন