ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই চিকিৎসকের সেবা’য় বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা।।
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ , ৫ মে ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অর্থোপিডিক্স চিকিৎসক মো. সোলায়মান ও এনেস্থিসিয়ার চিকিৎসক সৈয়দ আরিফুল ইসলামের মানবিক চিকিৎসার কারনে প্রাণে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা।।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের চর ইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়ি গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মাকচাঁন বেগম(৯০)।
দীর্ঘদিন যাবত মাঁকচান বেগমের ডান পা অচল। হাঁটাচলা করতে পারেন না। ভাঙ্গা পা নিয়েই কোনমতে চলছিল তার জীবন। টাকার অভাবে করাতে পারছিলেন না সঠিক চিকিৎসা।
দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন মাঁকচান বেগম। তার স্বামী দুধ মিয়ার একমাত্র কন্যাসন্তান সখিনা আক্তারের জন্মের তিন মাসের মাথায় মাকচাঁন বেগমকে রেখে অন্য মহিলাকে বিয়ে করেন। পরে মাঁকচান বেগমকে পত্তন গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে বাবার বাড়ি নাজিরাবাড়ি গ্রামে আশ্রয় নেয়। তারপর থেকেই ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে বেঁছে নেন মাকচাঁন বেগম।
গত ৩০ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের যমুনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মাকচাঁন বেগম। এতো ব্যয়বহুল অর্থোপেডিক্স সার্জারি করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
জেলা শহরের কুমারশীল মোড় যমুনা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী ও অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক মো. সোলায়মান এবং এনেস্থিসিয়ান চিকিৎসক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম যৌথ সিদ্ধান্তে এ মানবিক চিকিৎসার মাইলফলক তৈরি হয়েছে। পরে তাদের ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেকই ২ মে রাতে বিনা খরচে অবশেষে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ আছেন।
এব্যাপারে ডা. সোলায়মান বলেন, এমন একটি মানবিক কাজ করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। এনেস্থিসিয়া চিকিৎসক সৈয়দ আরিফুল ইসলাম স্যারকে সাথে নিয়ে অস্ত্রোপচারটি করি। তিনি এনেস্থিসিয়া দেয়ায় অস্ত্রোপচার করতে সহজ হয়েছে। মাঝেমধ্যে এরকম মানবিক চিকিৎসা দিয়ে সত্যি মনে শান্তি পাই৷
এ বিষয়ে যমুনা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, এই মাকচাঁন বেগমের বাবার বাড়ি আমার পাশের গ্রামে। অনেক কষ্ট করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তার একটি মাত্র মেয়ে নিয়ে সংগ্রাম করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তাই তার পক্ষে এতবড় অস্ত্রোপচার করা সম্ভব ছিল না। সব মিলিয়ে লাখ টাকা খরচ হওয়ার মতো। উনার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ, খাবার ও ওষুধ সবকিছু দিচ্ছি আমি।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে নিয়ে এমন একটি মহতী কাজ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। কৃতজ্ঞতা জানান দুইজন মানবিক ডাক্তারদের প্রতি
আপনার মন্তব্য লিখুন