মেহজাবিন বাবা’কে বলে, রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি !
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ , ২৯ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সারা দেশের ন্যায় সরাইল উপজেলায় চলছে লকডাউন, তার মধ্যে মুসলিম উম্মার পবিত্র মাহে রমজান। করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহিরে না যাওয়া। প্রত্যেকটি মানুষের জন্য মাক্স ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। অনেক দিন হয় মেহেজাবেন ঘর থেকে বাহির হয় না তবে আজ প্রয়োজনে দুপুরে সরাইল বাজারে যাবে বাবা’র সাথে বায়না ধরেছে ছোট্ট রোজদার মেহজাবিন। বাবা আমি রোজা থাকি অনেক দিন বাইরে যায় না,আজ তরমুজ আনবো আর কিছু মজা কিব। মা’রে এখন বাহিরে যেতে নেই। বাবা আমি জানি করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে হলে সরকারের নির্দেশ মতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাবা আমি মাক্স পড়েছি। বলে বাড়ির সামনে থেকে রিকশা করে সরাইল বিদ্যুৎ অফিস পার হয়ে সমনে যেতেই রিকশা থেমে বলছে নামেন, মেহজাবিন বলে বাবা, এখানে নামবো কেন বাজারে যাব। মা’রে সামনে রাস্তার কাজ করছে তাই রিকশা যায় না। বলতে মেহজাবিন চোখ তুলে বলে বাবা, এটা কি অন্নদার মোড়, এতদিনে সরাইলে সরকারে কাজের কাজ করেছে বাবা, যেখানে পানি ধুলাবালু যানজটের সবসময় এখানে দুর্ভোগ হতো আজ এখানে সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়েছে !! মেহজাবিন খুশিতে বলে বাবা, পাল্টে যাচ্ছে সরাইলে ঐতিহ্যবাহী অন্নদা মোড়ের সড়ক যোগাযোগের চিত্র। মা’রে এ কাজে’র জন্য সরাইলে’র জনপ্রতিনিধিরাও প্রশাসনের অনেক প্রশংসার দাবীদার। মেহজাবিন বলে,বাবা ভালো কাজের প্রশংসা করা উত্তম লোকের কাজ। আর অনারা উপজেলাবাসীর জন্য একটি উত্তম কাজ করেছ। একথা বলতেই একটু সামনে গিয়ে মেহজাবিন চোখ তাকিয়ে বলে,বাবা ঢালাই কাজ অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে বাবা এখানে দি রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি। মা’রে বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তায় আগেই ছিল।
মেহজাবিন বলে,বাবা বুঝলাম বিদ্যুতের খুঁটি আগে ছিল এটা আমি বুঝি? মেহজাবিন বলে,বাবা সামনেই তো বিদ্যুতের অফিস এরা কি দেখছে না, রাস্তার কাজে’র সময় একটু সরিয়ে ফেললে আজ রাস্তা টা কত সুন্দর লাগতো। মা’রে এতো কিছু দেখতে নাই। মেহজাবিন বলে,বাবা এমন করে বলবেন’না চোখ যখন আছে, আমি যেমন দেখতেছি যারা এ রাস্তায় চলাচল করে সব মানুষই দেখতেছে । এরমধ্যে প্রশাসনের সকল লোকই এই দিকে আসা যাওয়া করে। বাবা ওনারও দেখতেছে ? মা’রে তুমি ছোট মানুষ এমন করে বলতে নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দেখে অবশ্যই একটা সঠিক ব্যবস্থা করবে?? মেহজাবিন বলে,বাবা অপেক্ষায় রইলাম,তবে সরাইলের এই কাজটি অনেক সুন্দর হয়েছে মানুষের দুর্ভোগ কমেছে”বাবা ধন্যবাদ সরকারকে “” বলেই সামনে গিয়ে মোড়ে তরমুজের দোকান দেখে মেহজাবিন বলে, বাবা এখান থেকে তরমুজ নিয়ে নেন,বিতরে মানুষের ঘেষাঘেষি বেশী। তরমুজ বিক্রেতাকে একটা তরমুজ দেখিয়ে বললাম এটার মুল্য কতো হবে। তরমুজ বিক্রেতা তরমুজ টা হাতে নিয়ে বলে ৪০০ টাকা বলতেই। মেহজাবিন বলে,বাবা এতো দাম তরমুজ। বাবা,ঐদিন আপনি নিলেন এতোবড় তরমুজ ২০০ টাকা আজ বলতেছে ৪০০ টাকা, মেহজাবিন বলে,বাবা এই তরমুজের দরকার নেই!! মা’রে তরমুজের হঠাৎ দাম বাড়ায় প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। মেহজাবিন বলে,বাবা তুরমুজ নিয়ে ঠিক আছে তবে বিদ্যুতের খুঁটি যে রাস্তায়? মা’রে সরাইল প্রবেশ মুখে নতুন রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটির ব্যাপারে সরাইল উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সামির আসাব তিনি বলেন,আমি শুনেছি রাস্তায় কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা করা হবে তিনি জানান।
আপনার মন্তব্য লিখুন