দীর্ঘ ২৪ বছরের দাম্পত্য জীবন সৌরভ-ডোনার প্রে’ম কাহিনী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ , ৭ এপ্রিল ২০২১, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
সেইসময় কলকাতা শহর ছিল একেবারে অন্যরকম। তা বলে সাদামাটা নয়, রঙিন ছিল চারপাশ। যদিও সেই রঙিন এখনকার মতো নয়। মানুষের ঘরে তখন ইন্টারনেট স্মা’র্টফোন কিছুই ছিল না।
কিন্তু সেই সময় প্রে’মে পড়েছিলেন ভা’রতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ ও নৃত্যশিল্পী ডোনা। তাদের প্রে’মকাহিনী ছিল একেবারে সিনেমা’র মতন।সীমানার এপার ওপারের দুটি বাড়ি। একটি হলো রায়বাড়ি আর অ’পরটি গাঙ্গুলী বাড়ি। এই বাড়ির দূরত্ব এতটাই কাছাকাছি যে এক বাড়ির লোকেরা কথা বললে আরেক বাড়ির লোকেরা সেটা শুনতে পান।
খুব সহ’জেই এক বাড়ি থেকে অ’পর বাড়িতে যাতায়াত করা যায়। তাই ছোটবেলা থেকেই ডোনা এবং সৌরভ দু’জনেই ছিল খেলার সঙ্গী। ছোট থেকে একসাথে বড় হয়ে উঠেছেন দুজনে। বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলতেন সকলের প্রিয় দাদা। আর ডোনাকে দেখলে তার হাবভাবটা যেন বদলে যেত। হিরোদের মধ্য কলারটা টানাটানি করে মিষ্টি করে হাসতেন সৌরভ।
যতক্ষণ দাদা সেখানে খেলতেন সেই জায়গা থেকে অন্য কোথাও যেতে না ডোনা গাঙ্গুলী। আর যখন কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের সন্ধিক্ষণে উপস্থিত, তখনই দুজনের হৃদয় আদান-প্রদানের পর্বটি সেরে ফেলেছেন এই জুটি। কলকাতার একটি নামকরা রেস্তোরাঁয় তারা প্রথম ডেটে যান। জানা যায়, সেদিন সৌরভ এতটাই খেয়ে ফেলেছিলেন যে নড়তে পর্যন্ত পারছিলেন না। সেই সময় অবশ্য সৌরভ বেশ বড় তারকা হয়ে গিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চু’রি করে নিয়েছেন দাদা।
যদিও এতকিছুর পরেও ডোনার ভয় ছিল তার পরিবারের লোকেদের নিয়ে। কারণ গাঙ্গুলীর বাড়ির লোকেদের ডোনার বাবা পছন্দ করতেন না। তবে এই সবকিছুর মধ্যেই সৌরভ একবার ভেবেছিলেন যে দুজনে রেজিস্ট্রি অফিসে চলে যাবে। কিন্তু তারা যদি দুজনে লুকিয়ে গিয়ে বিয়ে করতেন তাহলে সে ঘটনা সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধ’রা পড়তো। আর সেটা ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বের সামনে। আর তাই সেই সব দিকে চিন্তা ভাবনা করে একদিন সৌরভ গাঙ্গুলী নিজেই তার বাবার কাছে গিয়ে এসব কথা জানিয়েছিলেন।
সৌরভের বাবা চন্ডীদাস গাঙ্গুলী পরাম’র্শ দিতে গিয়ে তার ছে’লেকে বলেন যে সে যেন মন নিয়ে খেলা করে বাকি ব্যাপারটা তিনি দেখে নেবেন। এরপরে সৌরভ এর বাবা ডোনার বাবার সঙ্গে কথা বলেন। সবকিছু শুনে ডোনার বাবা একেবারে গলে জল। আসলে মেয়ে তো পছন্দ করেছেন কলকাতার যুবরাজকে। এরপরই মহা ধুমধাম করে ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় তাদের। এখন অবশ্য দীর্ঘ এত বছর কে’টে যাওয়ার পর সুখে সংসার করছেন এই দম্পতি। মেয়ে সানা ও বেশ বড় হয়ে গিয়েছেন। আর দাদা তো এখন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
আপনার মন্তব্য লিখুন