সৌভাগ্যের সাতে আমার ২০ তম বিবাহ বার্ষিকী।।

মোঃ তাসলিম উদ্দিন /আজ আমার ২০তম বিবাহ বার্ষিকী । ২০ বছর পূর্বে এই দিনে আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল আর একটি জীবন। জন্ম মৃত্যু বিয়ে এই তিনটি পর্যায়ের ,দুটির স্বাদ নিয়েছি। বাকিটা পর্যন্ত আমরা দুজন যেন হাতে হাত রেখে চলতে পারি – সবার কাছে এই দোয়া চাচ্ছি।

দেখতে দেখতে বিশটি বছর কিভাবে যেনো চলে গেল। আমার ঘরে সে এলো। দুই মেরুর দুটি মনের মিলন হল। আনন্দ-বেদনা সুখ-দু:খের মধ্য দিয়ে বিশটি বছর কোথা দিয়ে চলে গেল টেরই পেলাম না। একসময় প্রথম সন্তান মাহি এর জম্ম হল। কিভাবে যেনো বাবাও হয়ে গেলাম। তারপর মেহরাবের জম্ম হল। তারপর জন্ম নিল মেহজাবিন। দুইয়ে আর তিনে মিলে পাঁচ হয়ে গেলাম। মার মৃত্যুর পর যৌথ পরিবারে ছিলাম। আমার বিয়ের কিছু দিন পর বাবা ও চলেগেলেন। কত ঘটনাই না ঘটেছে এ বিশটি বছরে। আমি দীর্ঘ সময় প্রবাসে কাজ করেছি। প্রবাসে থাকতে তখনই আমার যোগ্য লাইফ পার্টনার এর ভুমিকায় অবতির্ন হল আমার জীবন সংগীনি। এখন প্রবাস থেকে এসে ব্যবসা করতে অনেক লসের বিতর ছিলাম।আমার বিপদের দিনে আমার সহধর্মিনির এই ত্যাগ সত্যই ভুলার মতো না। আমাকে সাহস যুগিয়ে আর সহযোগীতা করে আজো সে ব্যবসায় সক্রিয় রেখেছে। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। বিয়ের পর থেকে তাকে আমি কিছুই দিতে পারি নাই। কত জম্মদিন গেল। কত বিবাহ বার্ষিকী গেল। কিন্তু সে আমাকে দিয়েছে অনেক। মাঝে মাঝে অবশ্য মনে কষ্ট অনুযোগ ছিল। তা থাকটাই স্বাভাবিক। আজ বিশটি বছর পরও তাকে আমি কিছু দিতে পারছিনা।তবে মনের জাগ্রত ভালোবাসা দিয়ে আজও সংসার জীবনে আছি। মহান আল্লাহ তালার কাছে তাই লাখ সুকরিয়া জানাই। দোয়া করি আল্লাহ যেনো আমাদের এ জুটিকে দুজাহানে যেনো একই বৃন্তে গেঁথে রাখে। সৌভাগ্যময় বিশে সবার কাছে আমরা দুজন দোয়া চাই। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি যারা আমার শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে আমাদের বিবাহ বার্যিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই আমার প্রিয় ভাবিকে।