পরকীয়ায় ধরা খেয়ে স্বামীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলো স্ত্রী”

মো আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া /ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রেমিকের কথায় স্বামীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছেন খাদিজা বেগম(২৫) নামের ঘাতক স্ত্রী।

মুমূর্ষ অবস্থায় স্বামী রিমনকে(৩৩) প্রথমে স্থানীয় ফাঁড়ির ডাক্তার ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(২০ই অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবীল ইউনিয়নের চাওড়া গ্রামে।

আহত রিমন মিয়া ওই ইউনিয়নের চাওড়া গ্রামের দৌলতবাড়ি এলাকার মুহাম্মদ সাঈদ মিয়ার একমাত্র ছেলে। সে জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২ বছর প্রবাস জীবনে ছিলেন। করোনার কারনে প্রবাস ফেরত এসে রিমনের বিদেশে যাওয়া হয়নি।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবীল ইউনিয়নের চাওড়া গ্রামের সাঈদ মিয়ার ছেলে রিমন মিয়ার সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে আখাউড়া উপজেলার আজমপুর গ্রামের মনির মিয়া মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে জম্মগ্রহণ করে। সম্প্রতি মুঠোফোনে সিংগারবীল বাজারের কুদ্দুস ডাক্তারের ছেলে সজিবের(৩১) সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। এ বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী রিমন স্ত্রীকে বাধা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু স্ত্রী বিপথ থেকে ফিরে না আসায় দাম্পত্য কলহ বেড়েই চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে প্রেমিকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার সময় ধরা পড়েন। পরে প্রেমিকের কথায় খাদিজা ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, রিমনকে হামলার পর খাদিজার মা-বাবা ও প্রেমিক সজীবসহ ৭/৮ জন যুবক স্ত্রী খাদিজাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম রিমনের মা আনু বেগম জানায়, খাদিজার পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় আমার ছেলে রিমনকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, পরকীয়ার জেরেই এই হামলার ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।