কসবায় দেনাদারের পিটুনিতে ডেকোরেটর মালিক নিহত ॥ স্বামী ও স্ত্রী আটক
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।।ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রান হারালেন কবির হোসেন ওরফে ছোটন মিয়া (৫৫) নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী।
শুক্রবার (১১ই সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দেনাদার ও তার স্ত্রীর পিটুনিতে গুরুত্ব আহত হয় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী কবির হোসেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কবির মিয়া ওই এলাকার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত ডেকোরেশনের ব্যবসা করতেন৷
পুলিশ স্বামীস্ত্রী দু’জনকে আটক করেছে। দুপুরে দু’জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
অভিযোগ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের চারুয়া গ্রামের ডেকোরেটর মালিক কবির হোসেন ওরফে ছোটন মিয়ার নিকট থেকে প্রায় ৯ মাস পূর্বে একই গ্রামের রিক্সাচালক সেলিম মিয়া তেতাল্লিশ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। দীর্ঘ সময় ধরে পরিশোধের বিভিন্ন তারিখ দিয়েও পরিশোধ করছেনা সেলিম মিয়া। পরে আজ শুক্রবার দশ হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় দেনাদার সেলিম মিয়া। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাওনাদার কবির হোসেন টাকা আনতে সেলিম মিয়ার বাড়িতে গেলে সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার কবির হোসেনের বুকে ও তলপেটে সজোরে ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের বেদড়ক পিটুনিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে কবির হোসেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কবির হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত কবির হোসেন ৬ সন্তানের জনক। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে লাভলী আক্তার বাদী হয়ে সেলিম মিয়া ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কবির হোসেন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা করেছে নিহতের মেয়ে লাভলী আক্তার। নিহতের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের কিছু চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীস্ত্রী দু’জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন