লাঠিয়াল বাহিনীর হাত থেকে স্বামীর শেষ সম্বল রক্ষার আকুতি বিধবা আছিয়ার
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ , ৬ জুন ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
স্টাফ রিপোর্টার : আছিয়া খানম, স্বামী গত হয়েছেন চার বছর আগে। স্বামীকে হারিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে চার কন্যাসন্তান নিয়ে দিন কাটে তাঁর। জানা যায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামে স্বামীর দিয়ে যাওয়া শেষ সম্বল একটি বসত বাড়ি রয়েছে। আছিয়া খানম তাঁর বাড়ির নির্মাণের কাজ শুরু করলে কোন কারণ ছাড়াই সমুনের নেতৃত্বে একদল লাঠিয়াল বাহিনী দিনে দুপুরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘরের ভিতর আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় বেধড়ক মারধর করা হয়।
এ ঘটনার পর নির্যাতিত ওই নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনকে আসামী করা হয়। মামলার আসামীরা একই গ্রামের সমুন চৌধুরী, ইব্রাহিম (৩০),শামীম (৩০),মো: রায়হান (২৩), আসকান (২০),মো: আরিফ (৩৫),ছায়েদ (৩৫), ফায়েজ (৫০)।
মুঠোফোনে ধারণকৃত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একদল লাঠিয়াল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করতে থাকে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আছিয়া খানম আরো বলেন, হামলার কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে এ দেশে থাকতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। বারাবারি করলে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে ফেল দেবার হুনকার দেয়। আমার ছেলে সন্তান না থাকার কারনে আমার সম্পদগুলো নেয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠেছে।বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে বিচারের জন্য গ্রাম্যমোড়লদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করলেও সুফল মিলেনি তাতেও। সঠিক বিচার না পাওয়ায় বার বারই আমার উপর হামলা করা হচ্ছে এবং হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।
আমাকে বাঁচানো জন্য আমার আত্মীয়স্বজনরা আসলেও তাঁদেরকে মারার জন্য তেড়ে আসে। আমি নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছি। সরকারের কাছে আমার আবেদন আমি যেন সঠিক বিচার পাই।
মামলা তদন্তকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশের উপ- পরিদর্শক (এসআই) সফিক বাবু বলেন, জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে একটা বিরোধ চলছে। হামলার ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন