৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

অনেক বেশি ভালবাসি, প্রিয় মা

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ , ১০ মে ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

মেহেদী হাসান মুকুট: বিশ্ব মা দিবসে, পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও অসীম ভালবাসা। মা বিধাতার দেয়া সবচেয়ে বড় নিয়ামত, পৃথিবীতে জান্নাত, প্রশান্তির ছায়াতল।

“ মাকে আমার পড়ে না মনে।

শুধু কখন খেলতে গিয়ে হঠাৎ অকারণে

একটা কি সুর গুনগুনিয়ে কানে আমার বাজে,

মায়ের কথা মিলায় যেন আমার খেলার মাঝে।”

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মায়ের কোল যে কত বড় জিনিস তা একজন যোগ্য সন্তান ছাড়া আর কেউ জানে না। শত চিন্তা আপনার মাথায়, একবার মায়ের কোলে মাথা রাখেন দেখবেন সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে। দুনিয়ার যেখানেই যান না কেন মায়ের কোলে যে শান্তি তা কোথাও খুজে পাবেন না। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দটি হচ্ছে ‘মা’। মাত্র একটি অক্ষরের শব্দ ‘মা’, অথচ তাতেই যেন সমস্ত ভালোবাসা, আবেগের সম্মিলন। সম্পর্কের বেড়াজাল ছিন্ন করে সবাই দূর পরবাসে মিলতে পারে। চলে যেতে পারে প্রেমাবেগের বন্ধনের প্রিয়সীও। কিন্তু মা’র স্নেহ-ভালোবাসার বন্ধন কখনই ছিন্ন হবার নয়।

আজ বিশ্ব মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এ দিবসটি পালন করা হয়। যদিও একটি বিশেষ দিনে মধ্যে মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা সীমাবন্ধ নয়। এই ভালোবাসা প্রতিটি দিনের। প্রতিটি ক্ষণের। তারপরও মায়ের প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টান্ত হিসেবে এই দিনটি পালন করা হয়। বিশ্ব মা দিবসের ইতিহাস শতবর্ষের পুরানো। যুক্তরাষ্ট্রে আনা জারভিস নামের এক নারী মায়েদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।

১৯০৫ সালে আনা জারভিস মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ-দিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

যেই গৃহে মা নেই, সেই গৃহের সন্তানরাই বোঝেন মা না থাকার বেদনা। মা এর ভালোবাসা এর মধ্যে কোনো ভেজাল নেই, নেই কোনো মলিনতা। যেকোনো পরিস্থিতি হোক না কেন মায়েরা সবসময় তাদের সবকিছু বিলিয়ে দেয় সন্তানদের ভাল এর জন্য।

তাইতো আব্রাহাম লিংকন বলেছেন “যার মা আছে, সে কখনই গরীব নয়।”

‘মা’ শব্দটা অতি ক্ষুদ্র হলেও এর ব্যপকতা অনেক গভীর। বছরে শুধুমাত্র একটা দিন মাতৃ দিবস হলেও প্রতিটি দিনই এই দিবস হিসেবে পালন করা যায়। প্রত্যেক সন্তানের কাছে জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে মায়ের চেয়ে বড় শিক্ষাগুরু, মায়ের চেয়ে বড় রক্ষাকর্তা দ্বিতীয় আর কেউ হয় না। এমন গুণী মানুষটার জন্য সব সময় ভালোবাসা থাকবে, সেটা যেন শুধু কোন দিবসের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। ভাল থাকুক আমার ও পৃথিবীর সকল মায়েরা। ভালবাসা অবিরাম।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন