ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৭ জন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ , ২ মে ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ যুাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা নিয়ে দুই পরিবারের সাতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাড়পত্র দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদেরকে বাড়ি পাঠানো হয়। এর আগে দুই দফায় এই আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে উঠা আরো সাতজনকে বাড়ি পাঠানো হয়। এনিয়ে জেলার করোনার আইসোলেশন থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২জন। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে যারা ফিরেছেন তাঁরা হলেন নাসিরনগর উপজেলায় মারা যাওয়ার পর করোনা সনাক্ত হওয়া ওই মালেশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী (২২), তার আড়াই বছরের মেয়ে, দেবর (৩৪) ও আরেক দেবর (১৯)। বাকিরা হলেন আখাউড়া উপজেলার চরনারায়নপুর গ্রামের বাছির মিয়া (৫৫), তাঁর এক মেয়ে (২০) ও এক ছেলের বউ (২০)।
জেলার করোনার আইসোলেশ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের মকবুলপুর গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ওই মালেশিয়া প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা স্ত্রী, সন্তানসহ বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জ্বর-শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া মালেশিয়া প্রবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে ১২ এপ্রিল সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রতিবেদন আসে। ১৪ এপ্রিল মালেশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী, ১৭ এপ্রিল তার আড়াই বছরের মেয়ে শিশু সন্তান ও দুই ভাইয়ের করোনার ফল পজেটিভ আসে। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়। এদিকে আখাউড়ার চরনারায়নপুর গ্রামের বাছির মিয়ার এক মেয়ে ঢাকা থেকে আসার পর পরিবারের সকল সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকা থেকে আসা মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের করোনার নমুনার ফল নেগেটিভ আসলেও বাছির, তার মেয়ে ও ছেলের বউয়ের করোনার ফল পজেটিভ আসে। পরে ১৫ এপ্রিল বাছির ও তার মেয়ে ও ১৭ এপ্রিল ছেলের বউকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৩৯জন করোনায় সনাক্ত হন। তাদের মধ্যে মৃত রয়েছেন দুইজন। বতর্মানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে ৯জনসহ মোট ২১জন আইসোলেশনে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় তিনজন চিকিৎসক, তিনজন স্বাস্থ্য কর্মী ও একজন ওটি সহকারী করোনায় সনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, সাতজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মোট ১২জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন