১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

নামাজ পড়া আর দাঁড়ি রাখা লোক আমি পছন্দ করি : প্রধানমন্ত্রী

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:২৪ পূর্বাহ্ণ , ১৬ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

নিউজ ডেস্কঃ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্ম’দ শফিউল আলমের বিদায় উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। ওই বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও পর্লামেন্টারি এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের সিনিয়র সচিব মোহাম্ম’দ শহীদুল হককেও বিদায় জানানো হয়। এই দুই সচিবের বিদায় উপলক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

প্রশাসনে দাঁড়ি রাখেন, নামাজ পড়েন এমন কর্মক’র্তাদের বিএনপি-জামায়াত অনুসারি কর্মক’র্তা হিসেবে চিহ্নিত না করতে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এক শ্রেণির কর্মক’র্তা নিজেদের স্বার্থে এসব প্রচারণা চালান। যা কোনভাবে কাম্য নয়। নামাজ পড়া আর দাঁড়ি রাখা লোক আমি পছন্দ করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেঁজগাও কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমকে বিদায় জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নিয়োগের সময়ে একদল কর্মক’র্তা এই নিয়োগের বিরোধীতা করেছিলেন।

তারা তাকে (শফিউল আলম) জামায়াত অনুসারি কর্মক’র্তা হিসেবে চিহ্নিত করে আমা’র কাছে অ’ভিযোগ করেছিলেন। শফিউল আলমকে জামায়াত প্রমাণ করতে বলা হল, তখন ওই কর্মক’র্তা বললেন, তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন, তার দাঁড়ি রয়েছে।

পরে প্রধানমন্ত্রী তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শফিউল আলমের পরিবার মুক্তিযু’দ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একটি পরিবার। স্বাধীনতার সময়ে তার আপন বড় ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং মহান মুক্তিযু’দ্ধে তিনি শহীদ হন। একজন শহীদের ভাইকে আমা’র সামনে জামায়াত হিসেবে উপস্থাপন করা হল।
শেখ হাসিনা বলেন, শফিউল আলম একজন মেধাবী, সৎ ও দক্ষ কর্মক’র্তা। তার দায়িত্ব পালনের সময়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকসহ গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের সার-সংক্ষেপ দিনের টা দিনেই পেয়েছি। একদিনের কাজ তিনি আরেক দিনের জন্য কখনও ফেলে রাখেননি। তাছাড়া দায়িত্ব পালনকালে তিনি সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার উদাহারণ রেখে গেছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর (এপিএ) তারই ব্রেন। এ রকম ভালো ভালো কার্যক্রমের উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কোন কর্মক’র্তার নিয়োগ বা পদোন্নতি ঠেকাতে প্রথমেই বলে ওই কর্মক’র্তা বিএনপি। আরও পরে বলে সে তো জামায়াত। একজন কর্মক’র্তার রাজনৈতিক বিশ্বা’স যেকোন দলের প্রতি থাকতেই পারে, তা দোষের নয়। সবাই একই আদর্শে বিশ্বা’সী হবেন, এটা তো কাম্য হতে পারে না।

প্রশাসনের সকল কর্মক’র্তাকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অমুক কর্মক’র্তা বিএনপি, অমুকে জামায়াত বলে ফের কাউকে আখ্যায়িত করবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন