২৩শে মার্চ, ২০২৩ ইং | ১০ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

EN

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের ভুমিকা শ্রেষ্ঠ মানব সেবার নজির হয়ে থাকলো#

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ২:৫৯ পূর্বাহ্ণ , ১৩ এপ্রিল ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা করোনা সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে সচেতন করতে নিরলশ কাজ করে যাচ্ছেন।দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের ভুমিকা শ্রেষ্ঠ মানব সেবার নজির হয়ে থাকলো। সচক্ষে দেখছি জীবনের মায়া ত্যাগ করে পুলিশ সদস্যরা মানুষকে সচেতন করছেন। কে জানে এভাবে সচেতন করতে গিয়ে নিজেই হয়ত সংক্রমিত হচ্ছে। কিন্তু নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে কোন পুলিশ সদস্যই নিজের কর্তব্য থেকে বিরত থাকার কথা শুনিনি। জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত। এই ক্রান্তিলগ্নে জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই সংগ্রামী অভিবাদন ও সেলুট।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাবিশ্ব টালমাটাল। উন্নত দেশে সুবিধা হচ্ছে সরকারের দেয়া ঘোষণার সাথে সাথে জনসাধারণ তা মেনে চলে। বাংলাদেশে সেটা সম্ভব না। মানুষ শুনেও না।

২৬ মার্চ থেকে ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে মানুষ পিপড়ার মত গ্রামে ছুটলো। একবার ভাবলোও না নিজে সংক্রমিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য মৃত্যুর ঝুকি বহন করছেন। সরকার বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে। বিশেষভাবে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা মাঠে ঘাটে কাজ করছেন।

প্রিয় পাঠক একবার ভাবুন আপনাদের সচেতন করতে পুলিশ সদস্যদের স্বেচ্ছায় করোনার সাগরে ঝাপ দিতে হচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে সর্বদা পুলিশের দোষ খুঁজে বেড়াই। এখানেও হয়ত আমাদের কোন কোন সহকর্মী বলবেন এটা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। না এটা বলার সুযোগ নাই।

করোনা রোগ থেকে সচেতন করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পরে কি। আমি বলবো না। একটা দে নাগরিক হিসাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব। আর চিকিৎসকের দায়িত্ব চিকিৎসা করা। চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা।

বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সবাইকে ছাপিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশই প্রধান কাজটি করছেন। মানুষের বিপদের দিনে পাশে দাড়িয়ে ‘জনতার পুলিশ’ উপাধির যথার্থতা প্রমাণিত হয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

আরও পড়ুন