করোনায় সামাজিক দুরুত্ব মানার প্রবনতা নেই ব্রাক্ষনবাড়িয়ায়, ত্রান না দিয়েই ফিরতে হল জেলা প্রশাসককে
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:৫২ পূর্বাহ্ণ , ৫ এপ্রিল ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
প্রতিবেদক নয়নঃ বিশ্বব্যাপী আতংকের নাম করোনা ভাইরাস। এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে চলছে লাশের মিছিল। বাংলাদেশেও অভিশপ্ত করোনা একের পর এক কেড়ে নিচ্ছে প্রান। আক্রান্ত হয়েছে অর্ধশত। প্রতিকূল অবস্থায় সরকার নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাকে লক ডাউন করা হয়েছে। সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখার সহায়তায় মাঠে নামানো হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী। গত ২৫ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর তৎপড়তা শুরু হয়। জেলা প্রশাসন একের পর এক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে। তারপরও আগে যেমন ছিল, তেমনি আছে। শহরে যাবাহন চলাচল চোখে পড়ার মত। দোকান পাট বন্ধ থাকলেও মানুষের সমাগম বেড়েছে। বিশেষ করে ত্রাণ বিতরণ কালে গায়ে ঠাসা ঠাসি করে ত্রাণ নিতে আসা লোকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। সামাজিক দূরত্ব মানার লক্ষন নেই ব্রাক্ষনবাড়িয়াতে। এ নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। শহরের বাসিন্দারা যার পরনাই বিষ্মিত। শুক্রবার সকালে শহরের মেড্ডা বাসস্ট্যান্ডে ত্রাণ বিতরণকালে শত শত মানুষের জটলা লক্ষ্য করা যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে কসরত করতে হয়েছে। এমন জটলার নাখোশ জেলা প্রশাসক। তাই ত্রাণ বিতরণ না করেই ফিরে যান তিনি। জেলা প্রশাসক চলে যাওয়ার পর অন্য কর্মকর্তারা ত্রাণ বিতরণ করেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ৩ ফুট দুরুত্বে বৃত্তের ভেতর দাঁড়িয়ে ত্রাণ নেয়ার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হয়নি। আর এতেই জেলা প্রশাসক ক্ষুব্দ হন। এর আগে শহরতলীর ভাদুঘর ঋষিপাড়া, জেলে পরিবার, হিজড়া সম্পদায় ও নিম্নবিত্ত ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দেয়া হয়েছে। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়াসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক দূরুত্ব না মেনেই গত কয়েক দিন শহরে মানুষ চলাচল করছে। শহরের টেংকের পাড়, ঈদগাহ মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগম হচ্ছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়া জনকন্ঠকে বলেন, আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নানা চেষ্টা করেছি। আগের চেয়ে লোকসামগম কমেছে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, আমরা সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। জেলা প্রশাসক হায়ত উদ দৌলা খান বলেন, এ ব্যাপারে সচেতনতার উপর জোর দেয়া হয়েছে। আমরা তাই করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন