সুনশান শহরের অলিগলি, গ্রামে এখনো সরব!
নির্বাহী সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ , ২৬ মার্চ ২০২০, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
জহির রায়হান : প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে লকডাউন এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সেনবাহিনী মাঠে নামানো হয়েছে। শহরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও গ্রামের মানুষ তা মানতেই চাইছেন না। মাস্কবিহীন অবাধে ঘুরাফেরা এবং বাজারের চা স্টলসহ সব ধরনের দোকানপাট খোলা রেখে প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসা পরিচালনা করছে। এদিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে গ্রামের সচেতনরা এ ব্যাপারে অবিহিত করলেও কোন ধরনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি-নুরপুর চক বাজারের কিছু স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে এই অভিযোগ করেন Tafiqul alam sajib নামের এক শিক্ষার্থী। ওই পোস্টের বিপরীতে কমেন্ট বক্সে অনেকেই নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। শুধু এই গ্রামেই নয় একই চিত্র আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের।

ছবি : ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফেইসবুকে পোস্টদাতা তৌফিকুল আলম সজিব বলেন, গ্রামের মানুষদের মধ্যে কোন সচেতনতা নেই। আমরা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে গতকাল বুধবার বাজারসহ পুরো গ্রামে ক্যাম্পেইন করেছি। বিনা প্রয়োজনে কেউ যেনো ঘর থেকে বের না হয় এবং চা স্টলগুলো যেনো বন্ধ রাখে। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে দেখি সব-কয়টা দোকানই খোলা রেখে ব্যবসা করছে এবং গ্রামের মানুষেরও কোন কমতি ছিলো না। ফাঁড়িতে কল দিয়েছি তারাও ব্যস্ততা দেখিয়ে পাশ কেটে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রকিবুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, প্রতি একঘন্টা অন্তর অন্তর প্রত্যেকটা গ্রামে টহল অব্যাহত আছে। সব গ্রামের দোকানপাট-ই বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আমরা কুমিল্লা-সিলেট হাইওয়ে, ধরখার বাস স্ট্যান্ড, তন্তর বাজারসহ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে গতকাল বুধবার থেকেই মাইকিং করেছি এবং আজও তা অব্যাহত রেখেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে কেউ যেনো বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হয় এবং ঔষধের ফার্মেসী, মুদি দোকান ও কাঁচা বাজার ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে।
তিনি আরও জানান, ধরখার ইউনিয়নে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা ৮৭ জন প্রবাসীদের বাড়িতে গিয়ে সতর্ক করে এসেছি। তারা যেন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে এবং ঘর যেনো বের না হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন