জনতা ব্যাংকে ২৩ বছর চাকুরী করেও পেনশন পেলেন না ফৌজিয়া খাতুন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ , ৭ মার্চ ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
দীর্ঘ ২৩ বছরের অধিক সময় ব্যয় করে সরকারী প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক সিলেট কাজীটুলা শাখায় অফিস ঝাড়–দার পদে চাকুরী করেছিলেন ফৌজিয়া খাতুন উরফে লোভি বেগম (৬০)। জীবনের শেষ বয়সে তাকে শূণ্য হাতে প্রতারণার মাধ্যমে জোর করে বিদায় করে দিল সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট কার্যালয়ের পরিচালক বরাবর ফৌজিয়া খাতুন লিখিতভাবে এসব তথ্য সম্পর্কিত একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ১৯৯৭ ইং সনে তখন ফৌজিয়া খাতুন একজন যুবতী হিসাবে সিলেট নগরীতে অবস্থিত সরকারী প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংকের কাজীটুলা শাখায় অফিস ঝাড়–দার পদে নিয়োগ পান। চাকুরীকালীন তাকে যথাক্রমে বেতন দেয়া হতো ৪শত, ৮শত, ১৮শত ২৫শত এবং শেষে ৪ হাজার ২শত ৫০ টাকা মাত্র।
ফৌজিয়া খাতুনকে দেয়া অফিস ঝাড়–দার পদের চাকুরী স্থায়ী না অস্থায়ী সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বিস্তারিত জানাননি । প্রতি মাসের বেতন তোলার সময় ঐ ব্যাংকের কর্মকর্তারা খাতায় আগে টিপ সহি নিতেন। পরে বেতন দিতেন। ফৌজিয়া খাতুন অশিক্ষিত মহিলা তার নিয়োগের বিষয়টি ব্যাংক কর্মকর্তারা গোপন রাখতেন।
২০২০ ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে তাকে ঐ অফিস থেকে জোর করে তাড়িয়ে চাকুরীচ্যুত করা হয়। এখন জনতা ব্যাংকে ফৌজিয়া খাতুনের আর চাকুরী নেই। তিনি জীবন নিয়ে চিন্তিত। ঠিক মতো চোখে দেখেন না। শারীরিক রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে।
জনতা ব্যাংকে ২৩ বছরের চাকুরী সময়কালে সপ্তাহের প্রতি শনিবারে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ডিউটি করাতেন ব্যাংকের কর্মকর্তার নির্দেশে।
তিনি অফিসের বাথরুম ধোয়া মুছার সময় হারপিকের ছিটা তার চোখে পড়ে গেলে চোখটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরূপ অবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তা তাকে ছুটি দিতেন না। অসুস্থ্য হয়েও অফিস ডিউটি করাতেন।অসুস্থ্যকালীন চিকিৎসার ব্যয়ভার ব্যাংক বহন করতেন না,তিনি নিজেই বহন করতেন।
এখন শেষ জীবনের এই বৃদ্ধ বয়সে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে পেনশন না দিয়ে প্রতারণার ছলছাতুরীতে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে তাকে জোর পূর্বক তাড়িয়ে দেয়। ফৌজিয়া খাতুন সুনামগঞ্জ সদর থানার আশকুড়ি, শান্তিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী। বর্তমানে তিনি সিলেট নগরীর কলবাখানি আ/এ, চাশনী পীর মাজার রোড এলাকায় সন্তানদের সাথে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার প্রার্থী।
আপনার মন্তব্য লিখুন