আয়তুল কুরসী আল্লাহর অপূর্ব দান
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:২৬ পূর্বাহ্ণ , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
পবিত্র কোরআন মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার বাণী। যা মানুষের প্রয়োজনের জন্য নাজিল করা হয়েছে। পাশাপাশি আল্লাহ শুরুতেই এর সত্যায়ন করেছেন যে, এ কিতাবে কোনো সন্দেহ সংশয় নেই। কোরআনের মধ্যে এমন কোনো কিছু নেই যা মানবজাতির কল্যাণে লিপিবদ্ধ হয়নি। এ জন্যই আল্লাহ এ কোরআনকে মানব জাতির হিদায়াত ও জীবন বিধান হিসেবে নাজিল করেছেন।
আয়াতুল কুরসির ফজিলত: সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোনো বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতিত। (নাসাঈ) শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে না পারে। (বুখারি) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আয়াতুল কুরসি কোরআনের অন্যসব আয়াতের সর্দার বা নেতা। আয়াতটি যে ঘরে পড়া হবে, সে ঘর থেকে শয়তান বের হয়ে যাবে।
যে লোক প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি তিলাওয়াত করবে, তার জন্য বেহেশতে প্রবেশের একমাত্র বাধা হচ্ছে মৃত্যু। অর্থাৎ সে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বেহেশতের ফলাফল ও আরাম আয়েশ ভোগ করতে থাকবে। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন দেখতে পেলেন একজন আগন্তুক সদকার মাল চুরি করতেছে তখন তিনি আগন্তুকের হাত ধরে বললেন, ‘আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূলের কাছে নিয়ে যাব’। তখন আগন্তুক বলে যে সে খুব অভাবি আর তার অনেক প্রয়োজন। তাই দয়া করে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে ছেড়ে দিলেন।পরদিন সকালে রাসূল রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসার পর তিনি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘গতকাল তোমার অপরাধী কী করছে?’ হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন তাকে ক্ষমা করার কথা বললেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘অবশ্যি সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার আসবে।’
আপনার মন্তব্য লিখুন