ভুট্টো ১২ জন উপদেষ্টাসহ আলোচনায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিল
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ , ২২ মার্চ ২০১৯, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 7 years আগে
২১ মার্চ ১৯৭১ সেদিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার,পাকিস্তান পিপলস পার্টি’র নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ১২ জন উপদেষ্টাসহ আলোচনায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিল। ২২ মার্চ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সশস্ত্র প্রহরী বেষ্টিত ভুট্টোর ছবিটি তুলেছিলেন কিংবদন্তী আলোকচিত্রী জালালুদ্দিন হায়দার।
উল্লেখ্য যে, জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী তার রচিত ‘দ্য বিট্রেয়াল অভ ইস্ট পাকিস্তান’ বইতে লিখেছে “তদানীন্তন ইয়াহিয়া সরকার জুলফিকার আলী ভুট্টোর পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালে র্পূব পাকিস্তান পরিত্যাগ করে। ভুট্টোকে পাকিস্তানের একচ্ছত্র নেতা বানানোর জন্য তারই ষড়যন্ত্রে ইয়াহিয়া পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করে। ভুট্টো চেয়েছে ক্ষমতা; এতে পাকিস্তান টিকুক আর না টিকুক।” যার ইঙ্গিত খোদ ভুট্টোরই এক ভাষণে পাওয়া যায়, ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধুকে লক্ষ্য করে ভুট্টো বলেছিল, ‘এধার হাম, ওধার তুম’।
আরও স্মর্তব্য, ২৫ মার্চ রাতে মানব ইতিহাসের বর্বরতম সামরিক গণহত্যার অভিযান শুরু হওয়ার আগেই ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করলেও ভুট্টো ঢাকায় থেকে যায় এবং হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান নিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ উপভোগ করে।
২৬ মার্চ ১৯৭১, সকালে জেনারেল টিক্কা, রাও ফরমান ও আরবাবকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানিয়েছিল জুলফিকার আলী ভুট্টো। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশ্বাসও প্রদান করা হয় সেসময়। পরবর্তীতে ভুট্টো, গণহত্যায় নেতৃত্ব দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে টিক্কা খানকে পাকিস্তানের চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিযুক্ত করে। রাও ফরমান আলীকে ফৌজি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ব্রিগেডিয়ার আরবাবকে প্রথমে মেজর জেনারেল ও পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করেছিল।
রাতের আঁধারে নিরীহ বাঙালিদের নির্বিচার হত্যার পর ২৬ মার্চ করাচি পৌঁছে ভুট্টো ঘোষণা করে, ‘আল্লাহর রহমতে পাকিস্তান রক্ষা পেয়েছে’।
আমরা আজ প্রানপ্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা দিবসের লগ্নে বলতেই পারি, ‘আল্লাহ’র অশেষ রহমতে পাকিস্তান রক্ষা পায়নি। আল্লাহ’র অশেষ রহমতে পাকিস্তান নামের বর্বর অমানবিক রাষ্ট্রের শোষণ ও নিপীড়ন থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি’।





































আপনার মন্তব্য লিখুন