আজ বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ , ১৮ মার্চ ২০১৯, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা চিন্তাই করা যায় না। যখনই বাঙালিদের ওপর কোনো আঘাত এসেছে তখনই তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। রাজনৈতিক নেতা থেকে বঙ্গবন্ধু, পরবর্তীতে জাতির জনক। তার পুরোটা জীবন কেটেছে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে প্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ে। তিনি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এবং জাতীয়তাবাদের আলোয় উদ্ভাসিত একজন রাষ্ট্রনায়ক। তার জন্ম না হলে বাঙালি স্বাধীনতা-ই পেত না। বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এই দাবি তাই পুরোপুরি যৌক্তিক।
বঙ্গবন্ধুর সব আন্দোলনের একটিই উদ্দেশ্য ছিল। আর তা হচ্ছে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা। বাঙালি জাতির জাতিসত্তার ওপর যখনই আঘাত এসেছে তখনই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদমুখর হয়ে সেই আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, আইয়ুবের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৭০-এর নির্বাচন- যখনই বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সামনে এসেছে তিনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বজ কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
১৯৭০-এর নির্বাচনে জয়লাভের পর যখন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে তখন তিনি তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণেও জাতীয়তাবাদকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, তারা বাঁচতে চায়। তারা অধিকার পেতে চায়। নির্বাচনে আপনারা সম্পূর্ণভাবে আমাকে এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন শাসনতন্ত্র রচনার জন্য। আশা ছিল জাতীয় পরিষদ বসবে, আমরা শাসনতন্ত্র তৈরি করব এবং এই শাসনতন্ত্রে মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু ২৩ বছরের ইতিহাস বাংলার মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ২৩ বছরের ইতিহাস, বাংলার মানুষের মুমূর্ষু আর্তনাদের ইতিহাস, রক্তদানের করুণ ইতিহাস। নির্যাতিত মানুষের কান্নার ইতিহাস।
আপনার মন্তব্য লিখুন