মনির খান সারা দেশের
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ , ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। এবারের নির্বাচনে ছিলেন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বাদ পড়েন চূড়ান্ত মনোনয়নে। দল তো ছাড়লেনই, ঘোষণা দিলেন রাজনীতি ছাড়ারও। মনির খানের সঙ্গে কথা বলেছেন আতিফ আতাউর।
শোনা যাচ্ছে আবার নাকি দলে ফিরেছেন?
এটা মিথ্যা তথ্য। আমি নিজে বক্তব্য দিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছি।
আবার যে শোনা যাচ্ছে দলে যোগ দিয়েছি এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিইনি। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে এসব মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। আমি এখনো আমার সিদ্ধান্তে অনড়। রাজনীতিতে আর ফিরব না।
হঠাৎ কী হলো যে একেবারে পদত্যাগই করতে হলো?
কোনো অভিযোগ থেকে নয়। আমার কাছে রাজনীতিকে যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়েছে। এটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে, এই যা। ভেবেছিলাম সমাজ এবং মানুষের জন্য ভালো কিছু করা যাবে। কিন্তু দেখলাম সে পর্যন্ত পৌঁছানো খুবই কঠিন।
এর জন্য যে মানসিকতা প্রয়োজন সেটা হয়তো এখনো আমি অর্জন করতে পারিনি।
অনেকেই বলছেন মনোনয়ন না পেয়েই পদত্যাগ করেছেন।
মনোনয়ন পাওয়া না-পাওয়া বিষয় নয়। যেভাবে রাজনীতি করতে চেয়েছিলাম, আমার কাছে বাংলাদেশের রাজনীতি সে রকম মনে হয়নি। আমার তো অন্য কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। যদি তাই থাকত, তাহলে যেকোনো উপায়েই হোক অন্যরা যেভাবে লেগে থাকে সেভাবে লেগে থাকতাম। চাওয়া-পাওয়া নেই দেখেই ফিরে এসেছি। গানের বড় একটা জগত্ আছে আমার। রাজনীতি মানুষের জন্য, গানও মানুষের জন্য। একটা না হয় ছেড়েই দিলাম।
দলে থাকলে কিন্তু নানাভাবে মানুষের সেবা করতে পারতেন…
একটা আসন পেলে নির্দিষ্ট একটি এলাকার মানুষের সেবা করতে পারতাম। কিন্তু মনির খান সারা দেশের। চলতি পথে মানুষ ভুল করে, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। জিয়াউর রহমানের আদর্শগত বিষয়গুলো আমাকে খুব ভাবাত। সে জায়গাটির সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করতে পারিনি বলেই ফিরে এসেছি।
এলাকার মানুষের সেবায় এখন কী উদ্যোগ নেবেন?
ক্ষুদ্র বলেন, মাঝারি বলেন—সব ধরনের সেবা করার চেষ্টাই করেছি। সেটাকে আরো বড় পরিসর দিতে চেয়েছিলাম। যখন হলো না তখন ব্যক্তিগতভাবেই পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা করব। মানুষের সুখে-দুঃখে যখন যেখানে প্রয়োজন আমাকে পাশে পেয়েছেন। রাজনীতির বাইরেও প্রতি মাসে দু-একবার এলাকায় যেতাম। মানুষের সঙ্গে মিল-মহ্বত, আদান-প্রদান কোনো কিছুতেই আমার কোনো কমতি নেই।
নিজের ভবিষ্যত্ সাজাচ্ছেন কিভাবে?
এখন পুরো মনোযোগ গানে। ইউটিউবে দুটি চ্যানেল গড়েছি—‘মনির খান অফিশিয়াল চ্যানেল’ ও ‘মনির খান এমকে মিউজিক টোয়েন্টিফোর’। নতুন নতুন গান প্রকাশ করছি। প্রশংসাও পাচ্ছি। শ্রোতা-দর্শকরা বলছেন, আপনি গানের মানুষ গানেই থাকেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে কী প্রত্যাশা?
আমি একজন শিল্পী এবং শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমার কথাবার্তা, গান, চলাফেরাসহ সব কর্মকাণ্ড শান্তিময়। নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না। রাজনীতি করলেও সংগীতের মাঠ থেকে কেউ আমাকে কখনো বিতাড়িত করতে পারেনি। কোনো অসুস্থ কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করিনি। আমি চাই নির্বাচনে যোগ্য এবং পছন্দের প্রার্থীকে সবাই ভোট দিক। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগটা যেন ভোটাররা পায়। সুস্থ ও সুন্দর নির্বাচন হোক।
আপনি নিজে কি ভোট দিতে যাবেন?
অবশ্যই! সূত্র: কালের কণ্ঠ।
আপনার মন্তব্য লিখুন