৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

পাইপলাইন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ , ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মঙ্গলবার বিকেলে তারা নিজ নিজ দেশের রাজধানী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আমদানিকৃত তেল চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হতে খালাস করে চট্টগ্রাম ডিপোতে সঞ্চয় করে রাখা হয়। পরে কোস্টাল ট্যাংকে করে খুলনার দৌলতপুর ডিপোতে আনা হয়। সেখানে আনলোড করে আবার রেলের ওয়াগনে আপলোড করে নিয়ে যাওয়া হয় পার্বতীপুরে।

এই প্রক্রিয়ায়, পরিবহনজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত সময় এবং অর্থের অপচয় হয় উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনলে এ তিনটিরই সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া, জ্বালানি নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে এ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে।

পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি গত বছরের ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরের পরে চলতি বছরের ৯ এপ্রিলে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথম তিন বছর ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছর ৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আরো বাড়ানো সম্ভব হবে। নুমালীগড় রিফাইনারি ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য ডিজেল সরবরাহ করবে। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে এ সময় বর্ধিত করা যেতে পারে।

পাইপলাইন ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প দুটিও উদ্বোধন করেন।

ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের অধীনে ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে সেকশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ এ দু’টি প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মিত হলে সমন্বিত ও গতিময় ট্রেন সার্ভিস প্রবর্তনের মাধ্যমে শহরতলী এবং অন্যান্য জেলার যাত্রীদের রাজধানী ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াত সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্প দু’টিতে ভারতীয় এলওসি’র বরাদ্দ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অপরদিকে বাংলাদেশ সরকার খরচ করবে ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2018
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আরও পড়ুন