১লা জুন, ২০২৩ ইং | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

গভীর রাতে সিঁধ কেটে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, স্বামী বাঁধা গাছে!

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ , ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

মোবারক হোসেন চৌধুরী নাছির : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় গভীর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার স্বামীকে ঘরের বাইরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

গত রোববার দিবাগত রাতে এই ঘটনার পর গতকাল সোমবার ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় রেজাউল (৩৫) ও আলী মিয়া (৩৭) নামের দুই যুবককে আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার রাতে স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কসবার খাড়েরা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের রেজাউল মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের আলী মিয়া (৩৭) সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা ওই গৃহবধূর স্বামীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের বাইরে একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে রাখেন। পরে ওই গৃহবধূকে তারা ‍দুজন ধর্ষণ করেন। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই গৃহবধূ। গতকাল সোমবার ভোরে রেজাউল ও আলী ঘরে থাকা ২ হাজার ৭৪০ টাকা লুট করে নিয়ে চয়ে যান। সকালে গৃহবধূর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি স্বামীর বাঁধন খুলে ঘরে নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।

গতকাল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক। রাতেই থানায় রেজাউল ও আলীকে আসামি করে মামলা করেন ওই গৃহবধূর স্বামী।

ওই গৃহবধূ বলেন, তার স্বামীকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে তাকে রেজাউল ও আলী একাধিকবার ধর্ষণ করে।

গৃহবধূর স্বামীর ভাষ্যমতে, মাটি খুঁড়ে ঘরে ঢুকে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে রেজাউল ও আলী। পরে তারা দুজন তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। পরের দিন ভোরে তারা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ২ হাজার ৭৪০ টাকা নিয়ে গেছে।

কসবা থানার ওসি মো. আবদুল মালেক বলেন, গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে দুই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2018
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আরও পড়ুন