লেবাননে কর্মী পাঠানোর নিষেধাজ্ঞা আর নেই
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ , ২৯ আগস্ট ২০১৮, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া টাইমস ডেস্ক : গত ২৬ অগাস্ট লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেইসবুক পাতায় এক পোস্টে বলা হয়েছিল, “দালাল কর্তৃক সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার কারণে সরকার আপাতত বাংলাদেশ থেকে লেবাননে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তে জনশক্তি রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব নমিতা হালদার বলেন, ওই নিষেধাজ্ঞা আর নেই।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ (মঙ্গলবার) থেকে লেবাননে কর্মী পাঠানোর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে।”
তবে সেখানে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কঠোরভাবে অভিবাসন আইন মেনে চলতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন সচিব।লেবাননে বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন।
মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর লেবাননের কর্মী পাঠানোর নিষেধাজ্ঞা আসায় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।
লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেইসবুক পোস্টে গত ২৩ অগাস্ট দূতাবাসের হেড অব কনস্যুলেট ও কাউন্সেলর সায়েম আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেওয়া হয়েছিল, যেখানে কর্মী পাঠানোর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়।
লেবাননে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার তখন বলেছিলেন, “বাংলাদেশে যে ভিসা দালাল আছে, তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা ঠিকমতো কাজ পাচ্ছে না, তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
“এসব দালালদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম বাংলাদেশে থেকে লোক আনলে তারা যেন সঠিক তথ্য দিয়ে লোক আনে, যে কাজের কথা বলে আনা হয় সে কাজ যেন দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নতুন একটি পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত সরকার আপাতত লোক নিয়োগ স্থগিত করে দিয়েছে।”
লেবাননে দূতাবাসে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশি কর্মীরা
সচিব নমিতা হালদার বলেন, “কিছুদিন আগে লেবাননে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। তথন সেখানকার সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, যারা বাংলাদেশ থেকে লেবাননে যান তারা অনেকক্ষেত্রে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এমনটি যেন না হয় সেজন্য অভিবাসন আইন মেনে সেখানে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, নতুন পদ্ধতিতে যে সব রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী আনবে, তাদের প্রথমে দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। দূতাবাস যাচাই-বাছাই করে যদি দেখে ওই কোম্পানির কর্মী আনার সামর্থ্য রয়েছে, তবেই তাদের অনুমতি দেওয়া হবে।
সচিব নমিতা হালদার বলেন, “যারা লেবাননে কর্মী পাঠানোর কাজ করেন তাদের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠাতে হলে বিশেষ করে নারী কর্মী পাঠাতে হলে আইন মেনে পাঠাতে হবে। আইনের বাইরে কোনো কিছু করা যাবে না।”
[এই প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন লেবাবন প্রবাসী জহির রায়হান] সূত্র : বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
আপনার মন্তব্য লিখুন