সাভারে দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ , ১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার : ‘সৃজনে উন্নয়নে বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাভারে দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার সাভার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি। পরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী, মাদক ও জঙ্গিবাদ রুখতে সংস্কৃতিকে মূল হাতিয়ার করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সময় মানুষ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আমরা বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ হতে দিতে চাই না। এ সমাজ হবে উন্নয়নের সমাজ।’ এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো আন্দোলন রুখে দিতে সংস্কৃতিকর্মীদের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানে বিদেশি সংস্কৃতি দেশকে আঁকড়ে ধরছে। এর হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে তরুণ প্রজন্মকে দেশি সংস্কৃতিতে মনোনিবেশ করাতে হবে। এ জন্য দরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমিসহ সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা। বেশি বেশি সাংস্কৃতিক উৎসব করা। তাই তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮ শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় এমপি ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘সাভারে এই প্রথমবারের এত বড় সাংস্কৃতিক উৎসব হচ্ছে। এই উৎসবের মাধ্যমে মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে বেশি করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মসিউর রহমান, সাভার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ইলিয়াস খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ ও অভিনেতা স্মরণ সাহা।
আলোচনা পর্ব শেষে বিকেল ৫টায় সাংস্কৃতিক সংগঠন আশ্রমের শিশুরা গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করে। এরপর নাটক পরিবেশন করে জাগরণী থিয়েটার। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের সংগঠন অ্যাকসেস বাংলাদেশ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন