ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে লক্ষাধিক গরু
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:২৪ পূর্বাহ্ণ , ১৪ আগস্ট ২০১৮, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। জেলায় কোরবানীর জন্য খামার গুলোতে প্রস্তুত রয়েছে বিপুল সংখ্যক কোরবানীর গরু । খামার গুলোতে লক্ষাধিক পশু হৃষ্টপুষ্ট করনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে ক্যামিক্যালের মাধ্যমে কোরবানির পশু মোটা তাজা করনের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করা হয়েছে। খামারীদের দাবী দেশে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। বাহির থেকে পশু আমদানি করা হলে হুমকীর মুখে পড়বে দেশীয় খামারীরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৭ শ ৩৫ টি গবাদি পশু।
গত বছর জেলায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার পশু কোরবানি করা হয়। এবছরও সমপরিমান কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে খমারীরা বলছেন, চাহিদা অনুপাতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। এসব কোরবানীর পশুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা তাজা করনের জন্য খামারীরা প্রশিক্ষন নিয়ে দিন-রাত কাজ করছেন। কৃত্রিম খাবারের পরিবর্তে খৈল, ভুসি, ঘাস সহ দেশীয় খাবারের মাধ্যমে বেড়ে উঠছে এসব প্রানী। খামারীদের মতে জেলায় যে পরিমান গবাদি পশু রয়েছে তা দিয়েই কোরবানীর চাহিদা মেটানো সম্ভব।
পাৃর্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে গরু আমদানী করা হলে দেশীয় খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বঞ্চিত হবে কাঙ্খিত লাভ থেকে। ক্যামিকেলের ব্যবহার রোধে নিয়মিত পর্যবেক্ষনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে পশু মোটা তাজা করনের জন্য খামারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই প্রানি সম্পদ কর্মকর্তাবাহির থেকে গরু আমদানী বন্ধ এবং দেশে অবৈধভাবে ভারতীয় গরুর পাচার রাধে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী খামারীদের।
আপনার মন্তব্য লিখুন