৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

বঙ্গমাতার ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৩:০২ পূর্বাহ্ণ , ৮ আগস্ট ২০১৮, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

জাতি আজ বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী। জাতির পিতার পাশে থেকে জাতি গঠন কর্মকা- এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তানি শাসনকালে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবন্দি করা হলে এই মহীয়সী নারীকে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালেও অসীম সাহস, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।বাঙালি জাতির গর্ব বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনা অফিসারদের হাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ছাত্র সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবে। আজ বনানী কবরস্থানে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হল আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব স্মৃতি স্বর্ণপদক, বৃত্তি, স্মৃতি বক্তৃতা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন। প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামাদ, ট্রেজারার এবং ট্রাস্ট ফান্ড সভাপতি প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন। বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব স্মৃতি বক্তৃতা দেবেন। হল প্রভোস্ট ড. জাকিয়া পারভিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সূত্র : বাসস

বঙ্গমাতা বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস : প্রধামন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ও জাতির জন্য তার অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি তাকে যথার্থই ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। বঙ্গমাতার ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব-এর জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই মহীয়সী নারী ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি জাতির পিতার সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখতেন।। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবনের অধিকারী হোক, ভালোভাবে বাঁচে থাকুক- এ প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় তৎপর ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাইতো একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দায়িত্বপালন করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়শঃই কারাগারে বন্দি থাকতেন। এই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয়-দফা ও এগার-দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। -বাসস

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

August 2018
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
আরও পড়ুন