লেবাননে আক্কার এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের সাথে রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ , ১০ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
জহির রায়হান, লেবানন থেকে: গত রোববার (৮ এপ্রিল) লেবাননে ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ দিনটিতে সরকারি/বেসরকারি অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকে। পুরো সপ্তাহজুড়ে কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে রোববার ছুটির দিনে প্রশান্তির আশায় মানুষ যখন একটু বিশ্রাম নেয়। ঠিক তখনি প্রায় দেড়শত মাইল পথ পাড়ি দিয়ে লেবাননের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর ত্রিপলির, আক্কার দুর্গম এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুখ-দুঃখের কথা শুনতে তাদের সাথে মতবিনিময় করতে ছুটে গেলেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার।
গত রোববার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় ত্রিপলির, আক্কার, আফানডম রেস্ট্রু ক্যাফেতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকসহ প্রায় তিন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের স্টাফ। এসময় আক্কারবাসী রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে বরন করে নেন।

আক্কারবাসী রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে বরন করে নিচ্ছেন।
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার পূর্বে সেখানকার এক মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিঁনি বলেন, আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল আক্কার এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় করার। দূতাবাসে কাজের চাপ আর দুর্গম এলাকা হওয়ায় সময়-সুযোগ হয়ে উঠেনি এতদিন। কিন্তু আজ সে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এজন্য আমি সত্যিই আনন্দিত। এসময় তিঁনি আক্কার এলাকায় বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে তুলে ধরেন দূতাবাসের সকল সেবা সমূূহ এবং কি কি সেবা পাওয়া যায় বিস্তারিত।

মতবিনিময় সভায় একাংশের উপস্থিতি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনারা অনেকেই দূতাবাসে আসতে পারেন না। আপনাদের সেবায় সবসময় চালু আছে দূতাবাসের হেল্পডেস্ক। আপনাদের যেকোনো অভিযোগ কিংবা সমস্যার কথা হেল্পডেস্ক লাইনে ফোন কলের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা তাৎক্ষুনিকভাবে আপনার সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো। আপনাদের সেবা প্রদানের লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাষ্ট্রদূত। মতবিনিময় সভায় ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার পরিশ্রমের পাওনা টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করলে রাষ্ট্রদূত তা তাৎক্ষুনিকভাবে সমাধান করে দেন। এসময় “প্রবাসীবান্ধব রাষ্ট্রদূত, জনবান্ধব রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার” স্লোগানে মুখরিত হয় চারপাশ।
আপনার মন্তব্য লিখুন