বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে মরিয়া রোহিঙ্গা নারীরা! পাচারে সক্রিয় দালাল চক্র
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ , ২২ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা নারীরা। জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা এসব মহিলাকে নিজের মেয়ে সাজিয়ে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে সহায়তা করছে অসাধু ও লোভী কতিপয় বাংলাদেশী নাগরিক।পুরনো রোহিঙ্গারা স্থানীয় দালালের সহযোগিতায় সুন্দরী রোহিঙ্গা নারীদের পাচারের নেমেছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। এসব দালালের মাধ্যমে নানা কৌশল ও প্রলুব্ধ করে রোহিঙ্গা নারীদের বিদেশে পাচার করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাচারের উদ্দ্যেশ্য পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ হয়েছে অনেকেই। ইতোপূর্বে কয়েকদফা এরকম জালিয়াতির প্রচেষ্টা রুখে দেয়ার পর কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ফের আটক হয়েছ রোহিঙ্গা মহিলা। এসময় কৌশলে পালিয়েছে কথিত মা।আটক রোহিঙ্গা মহিলা রিজিয়াকে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
কক্সবাজার অাঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম জানান, কয়েকদিন আগে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের উত্তর নাছিরা পাড়ার সৈয়দ আকবরের মেয়ে রিজিয়া বেগম (১৯) পরিচয়ে পাসপোর্ট আবেদন করে এক মহিলা। কাগজপত্র ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আবেদনটি জমা না নিয়ে অবিভাবককে নিয়ে আসতে বলা হয়। এর প্রেক্ষিতে আবেদনকারী মহিলার মা সেজে পাসপোর্ট অফিসে আসে সৈয়দ আকবরের স্ত্রী হাসনা আরা (৪০)।
তখন তাদের উভয়কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে নাম-ঠিকানায় অসঙ্গতি ও জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়। অবস্হা বেগতিক দেখে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায় কথিত মা হাসনা আরা। এরপর কথিত রিজিয়া বেগমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভূঁয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করার চেষ্টার অপরাধে ওই মহিলাকে বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১, ৭ ১৩ তারিখেও পাসপোর্ট জালিয়াত রোহিঙ্গা মহিলা ছেনুয়ারা, তৈয়বা, রোজিনা, রিজিয়া ও কথিত পিতা এজাহার আলমকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে ইতোমধ্যেই উখিয়া -টেকনাফের ১২ অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে বহু রোহিঙ্গা নারীর খোঁজ পাচ্ছেনা বলে সুত্রে জানা গেছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নিকারুজ্জামান রোহিঙ্গাদের অপকর্মের বিযয়ে সর্তক থাকার বিষয় নিশ্চিত করেছেন
আপনার মন্তব্য লিখুন