আম বয়ানের মধ্য দিয়ে সকালে শুরু চৌদ্দ মৌজার আঞ্চলিক ইজতেমা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ , ৪ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
দ্বিতীয় বারের মতো ইজতেমা উদযাপনে প্রস্তুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তিতাস নদীর তীরের শালগাঁও-কালিসীমার চৌদ্ধ মৌজা ঈদগাহ মাঠ। এলাকাবাসীও মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জামাত টংগী বিশ্ব ইজতেমার একাংশে যোগ দিতে আসা মুসল্লীদেরকে সাদরে বরণ করে নিচ্ছেন। এই মাঠেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার একাংশ জেলা ইজতেমা।
ইজতেমার আয়োজক, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সূত্র জানায়, ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী যাতে নিত্যদিনকার ইবাদত বন্দেগী নির্বিঘে পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন এবারের ইজতেমায় দেশী বিদেশী অতিথিসহ প্রায় ৪/৫ লক্ষাধিক মুসল্লীর আগমন ঘটবে এই মাঠে। এছাড়া মাঠের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় ৭ শতাধিক পুলিশ।
মাঠের প্রস্তুতি সম্পন্ন ॥ প্রায় ২০ একর মাঠ জুড়ে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের অযু করার সুবিধার্থে মাঠের চতুর্দিকে পানির পাম্প ও টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের ভিতরে লাগানো হয়েছে অর্ধ-শতাধিক মাইক। তবে সবগুলো মাইক নিচের দিকে দেয়া হয়েছে। শব্দ দূষণ রোধেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজতেমা কর্তৃপক্ষ। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বিদেশী অতিথিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ বুথ।
পুরো কাজকে ত্বরান্বিত করতে ও বিশ্ব ইজতেমার একাংশ সফল করার লক্ষ্যে প্রতিদিন ফজর নামাজের পর থেকে শালগাঁও কালিসীমা এলাকার সর্বস্তরের মানুষসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুসল্লিরা মাঠে এসে বিভিন্ন কাজে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করেছেন। ইজতেমা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগত মেহমানদের খেদমত করতে যা যা করণীয়, তাই করা হচ্ছে। তাঁরা জানান, ইজতেমা উপলক্ষে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হবে এই মাঠে।
এছাড়াও রাস্তার পাশের চাতাল মিলগুলোতে মুসল্লিদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা আরো বলেন, ইজতেমার মূল লক্ষ্য হল মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে এসে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঈমানের ভিত্তি মজবুত করা।
আপনার মন্তব্য লিখুন