কসবায় বর্বরচিত ঘটনা হাসপাতালে ভাংচুর, পৌর কাউন্সিলর রঙ্গুমিয়া সহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা -০২,গ্রেফতার ১
স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ , ৫ নভেম্বর ২০১৭, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
কসবা একটি আদর্শ উপজেলা এ উপজেলায় রয়েছে বেশীর ভাগেই উচ্চ শিক্ষীত মানুষের বসবাস। জ্ঞানী,গুনি, এডভোকেট ব্যারিষ্টার, শিক্ষক, শিক্ষিকা, কবি, সাহিত্যক, শিল্পি, দেশের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তি, ইত্যাদি থাকা সত্ত্বে ও বর্বরচিত ঘটনা করে বুক ফুলিয়ে কমিশনার রংগু ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি সরকারী এক ডির্পামেন্টে কুক এর চাকুরী করে বাড়ী আসেন, বাড়ী এসে জাতীয়তা বাদী দল বি.এন.পি তে যোগদান করে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তৎপর ছিলেন। তিনি একজন বীর মুক্তি যোদ্ধা হিসেবে ক্ষেতি অর্জন করেন। তারপর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি নব্য আওয়ামীলীগে যোগদান করে, কিছু দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ৫ নং ওয়ার্ডের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সদর ইমাম পাড়াস্থ শুক্রবার বিকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। গুরতর হাবিবুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা হয়েছে বলে সূত্রটি জানান । আহতরা হলেন সাইফুল ইসলাম(১৮) জাহিদুল ইসলাম (১৮) হৃদয়(২০) আফরিজুল ইসলাম (১৯) তৌহিদুল ইসলাম (৫০) আনিসুল ইসলাম (৩৬) প্রমুখ। কসবা হাসপাতাল জরুরী বিভাগের মালামাল ভাংচুর সহ দুই মামলার ৫৫ জনকে আসামী করে কসবা থানায় মামলা করা হয়েছে। যাহার মামলা নং ৩২ তাং-২২/১০/২০১৭ইং মামলার বাদী মো: মিজানুর রহমান শেখ সহ সেবক উপজেলা স্ব্যস্থ্য কমপ্লেক্স তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন জনতা দলবদ্ধ অনাধিকার প্রবেশ করিয়া সরকারী কর্মচারীকে সরকারী কার্যাবলী সম্পাদনে বাঁধা দান পূর্বক রোগীদেরকে মারধর করত: ক্ষতি সাধনের অপরাধ করিয়াছে কমিশনার রঙ্গু ও তার দল। অপর দিকে ইমাম পাড়া গ্রামের আনিছুর রহমান বাদী হয়ে কমিশনার রঙ্গকে প্রধান হুকুমের আসামী করে ৩০ জনকে দিয়ে একটি মামলা দায়ের করে । যাহার মামলা নং ৩১, তাং ২২/১০/২০১৭ইং প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, ২০ অক্টোবর শুক্র বার বিকাল ৪ টায় তেতৈয়া বনাম আকছিনা গ্রামের দুটি পক্ষ বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ইমাম পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। আকছিনা গ্রামের আহতরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে গেলে সংবাদ পেয়ে কসবা পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়ার নের্তৃত্বে আহত হাবিবুর রহমানের উপর ঝাপিয়ে পরে তাকে সহ তার ভাই তৌহিদুল ইসলামকে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে কমিশনার রঙ্গু ও তার দল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হামলা চালিয়ে সরকারী সম্পদ ভাংচুর করে । এই ব্যাপারে কসবা উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে জরুরী বিভাগের সহ সেবক মো: মিজানুর রহমান শেখ বাদী হয়ে কসবা পৌর কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়া সহ ২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩২ তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৭ইং এবং আহত হাবিবুর রহমানের পক্ষে তার ভাই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে উক্ত কাউন্সিলর সহ ৩০ জনকে আসামী করে ২২ অক্টোবর মামলা নং ৩১, মোট দুইটি অভিযোগে ৫৫ জনকে আসামী করে কসবা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন । এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন অভিযোগ করার সত্যতা স্বীকার করেন। অতীতে অনেক ঘটনা পার পেলেও বর্তমানে অঘটনের জন্ম দাতা রঙ্গু মিয়া এখন আইনের কাঠগড়ায়। এলাকাবাসী রঙ্গু মিয়ার বর্বরচিত ঘটনা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে, নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং তার মুক্তিযোদ্ধার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। মামলা দায়েরের সাথে সাথে পুলিশ, কমিশনার রঙ্গু মিয়ার ছেলে আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পরবর্তী কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। কমিশনার রঙ্গু বহাল তবিয়ৎে প্রহর গুনছেন। দেখার কেউ নেই।
আপনার মন্তব্য লিখুন