২৯শে মে, ২০২৩ ইং | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

নাসিরনগরে শিকলে বাধা এইচ এস সি পরীক্ষার্থীর জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ , ১২ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে

এইচ, এস, সি পরীক্ষার্থী শেখ মুবিনা এখন শিকল বন্দি। একটি টিনশেঠ ঘরে প্রায় ৩ মাস যাবৎত  শিকলে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে মেধাবী কলেজ ছাত্রী মুবিনা। প্রচন্ড গরম, রোদ, বৃষ্টি মধ্যেই রাতদিন মানবেতর জীবন যাপন করছে এ তরুণী। উপজেলা সদর ইউনিয়ন ফুলপুর গ্রামের দিনমজুর শেখ তাজুল ইসলামের মেয়ে মুবিনা নাসিরনগর ডিগ্রী মহা বিদ্যালয়য়ের এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থী। সরজমিনে রুবিনাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শিকলে বাধা অবস্থায় খুটিতে বসে আছে মুবিনা। সে মাঝরাত পর্যন্ত জেগে পড়াশুনা করত বলে জানান তার মা মহিলন বেগম। বই পড়তে পড়তে একসময় ঘুমিয়ে পড়ত। কিছুদিন পূর্বে তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। ঘুমন্ত অবস্থায় চেঁচামেচি, কলেজ সহপাঠীদের ডাকাডাকি, চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠা ইত্যাদি। ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, ছোটভাই বোন এমনকি মা বাবাকে মারপিট করাসহ  আস্বাভাবিক আচরণ করত সে।
কাউকে দেখলে  সে বলতে থাকে আংকেল ওরা আমায় বেধেঁ রেখেছে। আমার শিকল খুলে দিন, আমি কলেজে যাব। শিকল ছাড়লেই সে লংকা কান্ড ঘটায় যা পরিবার সহ পাড়াপড়শির সবার আতংকের বিষয়। অসহায় পিতা বাধ্য হয়ে তাকে শিকলবন্দী করে রাখে।স্থানীয় ডাক্তার, কবিরাজ, ঝাড়ফুঁক কোন কিছুই বাকি রাখেনি তারা । কিন্তু মুবিনা ভাল হয়ে ওঠেনি। অসহায় পিতা আর না কোলাতে পেরে স্থানীয় স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হাত বাড়ায়। তাদের  আর্থিক সহায়তা সে এখন ব্রাহ্মানবাড়িয়া তিতাস জেনারেল হাসপাতালের মানসিক চিকিৎসক ফারুক আলমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।সহায় সম্বলহীন পিতা সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন। মুবিনার মা আক্ষেপ করে বলেন আমার মেয়ে উন্নত চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে ওঠত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে। তিনি বলেন আমি নিজে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। এখন সে চিকিৎসা ধীন অবস্হায় আছে। আমি বলে এসেছি যতটুকু সহযোগিতা চিকিৎসার জন্য আমার পক্ষ থেকে করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

April 2017
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আরও পড়ুন